শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পশ্চিমাদের রণকৌশল এবং গ্লোবাল অর্থনীতির সঙ্কট
রায়হান আহমেদ তপাদার
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৩:২১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

পশ্চিমাদের রণকৌশল এবং গ্লোবাল অর্থনীতির সঙ্কট

পশ্চিমাদের রণকৌশল এবং গ্লোবাল অর্থনীতির সঙ্কট

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সাত মাসে গড়িয়েছে। যুদ্ধের শুরুর দিকে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালিয়ে ইউক্রেনের বিশাল এলাকা দখল করে নিয়েছিল রুশ বাহিনী। তবে সময় যত গড়িয়েছে, যুদ্ধের ময়দানে রাশিয়ার সাফল্য ততই ফিকে হয়েছে। সর্বশেষ ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ থেকে পিছু হটতে হয়েছে রাশিয়ার সেনাদের। তাহলে বলাই যায়,ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জন করছে। অনেক শহর ও গ্রাম তারা মুক্ত করছে এবং রুশ বাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করছে। ইউক্রেনীয় পাল্টা আক্রমণ কত দূর যাবে তা দেখার বিষয়, তবে এটি ইতিমধ্যেই স্পষ্ট যে রণক্ষেত্রের কৌশলগত ভারসাম্যে পরিবর্তন আসছে।পশ্চিমা অস্ত্রে সজ্জিত ইউক্রেনের বাহিনীর জন্য খারকিভের দখল ফিরে পাওয়া বড় অর্জন বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে, খারকিভ থেকে পিছু হটা কি মস্কোর সামরিক ব্যর্থতা, নাকি কৌশল। তাই খারকিভে ইউক্রেনের সেনাদের আপাতসাফল্যের চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন অনেকেই। এর মধ্য দিয়ে আগামী দিনে যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণের চেষ্টাও চলছে। তবে এরই মধ্যে রুশ বাহিনী পিছু হটার পর ইউক্রেনের ইজিয়ামে মিলল গণ কবর। পূর্বাঞ্চলীয় ইজিয়াম শহরে গণকবরের সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছে ইউক্রেন। কবরটি থেকে ৪৪০টি মৃতদেহ উদ্ধারের কথা বলছে দেশটির পুলিশ। নিহতরা সবাই রুশ আগ্রাসনের শিকার বলে অভিযোগ কিয়েভের। রুশ সেনা প্রত্যাহারের পর ইজিয়াম এখন ইউক্রেনীয় সেনাদের দখলে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, গণকবরে থাকা নিহতদের অনেকে গোলাবর্ষণ এবং বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন। ১৬ সেপ্টেম্বর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স সপ্তাহখানেক আগে ইউক্রেনীয় বাহিনীর তীব্র হামলার মুখে উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের খারকিভ প্রদেশের ইজিয়ামে নিজেদের প্রধান ঘাঁটি পরিত্যাগ করতে বাধ্য হয় রাশিয়া।

এই মুহূর্তে রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্ব বড় সংকটে পড়েছে। শুধু মাঠের দক্ষতানয়,বৃদ্ধিবৃত্তিক দিক থেকেও ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে মাত করে দিয়েছে। খারকিভে ইউক্রেনের বাহিনীর সফলতার মূলে রয়েছে রুশ গোয়েন্দা বাহিনীর প্রতারণা। এ কারণেই সংকটময় মুহূর্তে রাশিয়া তার সেনাবাহিনীকে পুনঃস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে। রাশিয়ার এই পরাজয় নতুন আরেকটি যুদ্ধক্ষেত্র খুলে দিল। সমন্বয়ের ক্ষেত্রে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সামর্থ্য সীমিত। এতে তারা কতটা অর্থপূর্ণ প্রতিরক্ষা তৈরি করতে পারবে, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। এ বিপর্যয়ে রাশিয়া ওই অঞ্চলে তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রোমান বার্ডনিকভকে বরখাস্ত করেছে।এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তাঁর তিন সপ্তাহের দায়িত্বের পরিসমাপ্তি হলো।রাশিয়ার এমন প্রতিক্রিয়া খুব স্বাভাবিক হলেও এই সমস্যার মূল অনেক গভীরে। কারণ, রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার সামরিক অবকাঠামো সরাসরি পুতিনের অধীনে। তাই ২০২২ সালে এসেও রাশিয়ার সেনাবাহিনী তাদের সোভিয়েত আমলের কাঠামো থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। এ ধরনের বিপর্যয় আগেও ঘটেছে।

সেনাবাহিনীর মধ্যে যাতে অভ্যুত্থান না হয়, তার প্রস্তুতি হিসেবে এটি পরিকল্পিত ভাবে রক্ষা করা হয়েছে। এই কৌশল যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যর্থতা ডেকে আনলেও ইউক্রেন যুদ্ধের বিপর্যয়ের ফলে রাশিয়াতে যে ঘটনাপ্রবাহ সৃষ্টি হচ্ছে, তার উত্তাপ থেকে সুরক্ষিত রাখছে পুতিনকে। ইতিমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন শক্তি সংকট মোকাবিলায় পুরোপুরি সক্রিয় হয়েছে। বাংলাদেশ এক নভেম্বর টার্গেট তারিখ ধরে ইতিমধ্যে আমাদের গ্যাসের মজুতভান্ডার ৮০ শতাংশের বেশি পূরণ করেছি এবং শীতকালে গ্যাসের ব্যবহার কমানোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করতে সম্মত হয়েছি। নাজুক অবস্থায় পড়া ভোক্তা এবং ব্যবসায়ীদের মূল্যবৃদ্ধি জনিত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার বিষয়ে সহায়তা করতে আমরা অতিরিক্ত মুনাফা করেছি, এমনকি জ্বালানি কোম্পানিগুলোর ওপর উইন্ডফল ট্যাক্স আরোপের মতো প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।
তদুপরি জি-৭ এবং অন্য সমমনা অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় সাপেক্ষে রাশিয়ান তেল রপ্তানির সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছি। আমরা গ্লোবাল সাউথ বা বৈশ্বিক দক্ষিণের দেশগুলোতে আমাদের অংশীদারদের রাশিয়ার নৃশংস আগ্রাসন এবং শক্তি ও খাদ্যের নিষ্ঠুর অস্ত্রায়নের কুফল সামলাতে সাহায্য করছি। বলা যায়, রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামগ্রিক কৌশল কাজ করছে। আমাদের অবশ্যই ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়া অব্যাহত রাখতে হবে, নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাশিয়াকে চাপ দিতে হবে এবং আমাদের বৈশ্বিক অংশীদারদের সংহতির চেতনায় সাহায্য করতে হবে।

যাঁরা নিষেধাজ্ঞাগুলো কাজ করছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাঁরা ক্রমবর্ধমান নড়বড়ে ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে আছেন। সাধারণভাবে, নিষেধাজ্ঞা বা অবরোধগুলোর দ্বৈত কার্য রয়েছে।একটি খুব স্পষ্ট বার্তা দিয়ে ইইউ রাশিয়ান জ্বালানির ওপর তার নির্ভরতা শেষ করে দেওয়ার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্রেমলিন গ্যাস রপ্তানির পরিমাণ নাটকীয়ভাবে হ্রাস করার মাধ্যমে বিশ্ববাজারকে ধাক্কা দিয়ে তার চুক্তি ভঙ্গ করেছে।জ্বালানি বন্ধ করে দিয়ে ব্ল্যাকমেল করার ক্ষমতাকে রাশিয়ার একটি শক্তি বলে মনে হতে পারে; কিন্তু এটি শেষ পর্যন্ত একটি হারানো কৌশল।জনপ্রিয় বিশ্বাসের বিপরীতে দাঁড়ানো প্রকৃত বাস্তবতা হলো, রাশিয়া সহজে ইউরোপীয় বাজারের বিকল্প টেকসই বাজার খুঁজে পাবে না। এর কারণ হলো, দেশটির বেশির ভাগ গ্যাস-রপ্তানি অবকাঠামো ইউরোপে রপ্তানির উদ্দেশ্যে বানানো হয়েছে। সেই পাইপলাইনগুলো ঘুরিয়ে চীনের মতো দেশে গ্যাসের প্রবাহ চালু করতে প্রথমত কয়েক বছর সময় লাগবে, দ্বিতীয়ত এতে রাশিয়ার কয়েক শ কোটি ডলার খরচ হবে।এটি সত্য, রাশিয়া সাম্প্রতিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি থেকে উপকৃত হয়েছে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ হয়েছে। আসলে রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি কমানোর বিষয়ে ইউরোপের নেওয়া সিদ্ধান্তের সম্পূর্ণ প্রভাব দেখতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

এখন পর্যন্ত ইউরোপ শুধু রাশিয়ান কয়লা আমদানি নিষিদ্ধ করেছে এবং রাশিয়ান তেলের ক্রয় কমিয়েছে। তবু তার প্রভাব লক্ষণীয় হয়ে উঠছে।রাশিয়া সাম্প্রতিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি থেকে উপকৃত হয়েছে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ হয়েছে। আসলে রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি কমানোর বিষয়ে ইউরোপের নেওয়া সিদ্ধান্তের সম্পূর্ণ প্রভাব দেখতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। এখন পর্যন্ত ইউরোপ শুধু রাশিয়ান কয়লা আমদানি নিষিদ্ধ করেছে এবং রাশিয়ান তেলের ক্রয় কমিয়েছে। তবু তার প্রভাব লক্ষণীয় হয়ে উঠছে। ওদিকে রাশিয়ার কয়লা রপ্তানির সাম্প্রতিক পরিমাণ তার ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত সময়ে রপ্তানি হওয়া পরিমাণের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে। এটি ক্রেমলিনের অন্যান্য ক্রেতা খুঁজে পেতে ব্যর্থতার প্রতিফলন ঘটায়। একইভাবে, যেহেতু ইইউ ঘোষণা করেছে, তারা ২০২২ সালের শেষ নাগাদ রাশিয়ান তেলের আমদানি ৯০ শতাংশ কমিয়ে দেবে, সেহেতু তেলের দাম অনেক কমে গেছে। ক্রেমলিন যদি ইউরোপে তার গ্যাস সরবরাহ আরও কম করে, তবে তার রাজস্ব আরও কমে যাবে। যেমন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেছেন, ইউরোপ অতীতে হয়তো রাশিয়ান গ্যাসের জন্য আরও অনেক কম মূল্য পরিশোধ করতে পারত, কিন্তু তারা তাদের নিরাপত্তার শর্তে অর্থ প্রদান করার কারণে মস্কোকে বেশি দাম দিতে হচ্ছিল। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল কারণ তারা নিশ্চিত ছিল, ইইউ রাশিয়ার ওপর অতিরিক্ত জ্বালানিনির্ভর হওয়ায় ইইউ দেশগুলো রাশিয়ার ওপর অবরোধ আরোপে বিভক্ত হয়ে পড়বে। কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভুল হিসাব করেছেন।রাশিয়ান জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস করে ইউরোপ সেই পুরোনো বিশ্বাস থেকে নিজেকে মুক্ত করছে, যেখানে মনে করা হতো অর্থনৈতিক পারস্পরিক নির্ভরতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক উত্তেজনা হ্রাস করে।

আজ থেকে ৪০ বছর আগে এই উপলব্ধি হয়তো সঠিক ছিল, কিন্তু এটি অবশ্যই এখন কার্যকর নয়। কারণ পারস্পরিক অর্থনৈতিক নির্ভরতা এখন অস্ত্র হয়ে উঠেছে। আবার অভ্যন্তরমুখী হয়ে নিজেদের গুটিয়ে রাখাও কাজের কাজ নয়। আমাদের অবশ্যই একটি উন্মুক্ত অর্থনীতি দরকার; কিন্তু আমরা স্থিতিস্থাপকতা এবং বৈচিত্র্য ব্যতীত পরস্পর নির্ভরতাকে গ্রাহ্য করতে পারি না। আমরা যাদের সঙ্গে বাণিজ্য করি এবং যোগাযোগ রাখি, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। অন্যথায়, পুতিন ২০ বছর ধরে যে ফাঁদ পেতে রেখেছেন, আমরা সেই একই ধরনের ফাঁদে পা দেব। নিষেধাজ্ঞাগুলোও স্পষ্টতই রাশিয়ার ওপর একটি বাধ্যতামূলক প্রভাব ফেলেছে। তবে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ফলে ইউরোপের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপ ও বৈশ্বিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনের এই জয়যাত্রা কতটা টেকসই হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।এক সপ্তাহ আগেও ইউক্রেনের ভূরাজনৈতিক ভারসাম্য এমন ছিল, যে দিকেই পা বাড়ানো হোক, পরিস্থিতি প্রতিকূল। পশ্চিমাদের জন্য বিষয়টা ছিল লেগে থাকার বিকল্প কিছু নেই, অনেকটা এমন। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অন্য বিশ্বনেতাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন পশ্চিমা নেতারা।ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানানো থেকে পশ্চিমাদের সরে আসার সুযোগ নেই বললেই চলে। কারণ উদার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা একেবারেই হুমকির মুখে পড়েছে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনীয়দের অনেক বেশি রক্ত ঝরেছে। পশ্চিমা কোষাগারের ব্যয়ের ক্ষেত্র অনেক বেশি বিস্তৃত হয়েছে। কেবল ইউক্রেনকে প্রতি মাসে ৫০০ কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তা দিতে হচ্ছে। যুদ্ধ শুরুর পর শুধু যুক্তরাষ্ট্রকে এ জন্য খরচ করতে হয়েছে ১ হাজার ৫৫০ কোটি ডলার। যদি পশ্চিমারা রাশিয়াকে অর্থনৈতিক ভাবে কোণঠাসা করে ফেলার পরিকল্পনা অব্যাহত রাখে, তাহলে মরিয়া ভ্লাদিমির পুতিন নিশ্চিতভাবে রাশিয়া থেকে গ্যাস রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেবেন। শুধু নর্ড স্ট্রিম ওয়ান দিয়ে আসা গ্যাসই নয়, সব পাইপলাইন বন্ধ করে দেবেন এমন হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।

কিন্ত ইউরোপকে উদ্ধারে এগিয়ে আসা ও তেল উৎপাদন বাড়াতে সৌদি আরব থেকে শুরু করে ইরানসহ তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। ফলে লাখো ইউরোপীয় ভোক্তা এই শীতে জমে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছেন কিংবা দেউলিয়া হতে যাচ্ছেন।বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির খড়্গ থেকে ইউরোপীয় নির্বাচকদের বাঁচানোর খরচ এখন ৫০ হাজার কোটি ইউরোতে গিয়ে ঠেকেছে। এই ব্যয় এখনো বাজেট ধসিয়ে দেওয়ার হুমকি হিসেবে বহাল রয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে সুদের হার বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো চাপের মধ্যে রয়েছে। মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৮ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে, যা ইউরোপে ২৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। যাই হোক যুদ্ধে ইউক্রেনের সাফল্যের এই গল্প এখনই থামছে না। জাতিসংঘে ভাবমূর্তির বিষয়টি বিবেচনায় নিলে দোনেৎস্কে রাশিয়ার পরাজয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। তবে এখনো পশ্চিমা নেতারা তাঁদের ঝাড়বাতি অফিস থেকে উদ্বিগ্ন ভাবে তাকিয়ে থাকবেন যে ইউরোপ চাপে কাবু হয়ে পড়বে, নাকি দৃঢ় থাকবে। কারণ, চাপ এখনো বন্ধ হয়নি। নিকোলাই মাইত্রোখিনের ভাষায়, রাশিয়ার পক্ষ থেকে যেটাই বলা হোক না কেন, খারকিভের নিয়ন্ত্রণ হারানো রুশ সেনাদের জন্য বড় একটি ধাক্কা।


লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট ।

ডেল্টা টাইমস্/সিআর/এমই 

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
  এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।

ফোন: ০২-৪৭১২০৮৬১, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।
ফোন: ০২-৪৭১২০৮৬১, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com