সাংস্কৃতিক কর্মীরা মানবতা বিরোধী ধর্মান্ধ হয় না : কৃষিমন্ত্রী
ঢাবি প্রতিনিধিঃ
|
![]() শেখ কামালের জন্মদিনে বন ও পরিবেশ উপকমিটির উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক । ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটরিয়ামে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামাল বহুমাত্রিক অনন্য প্রতিভাবান সংগঠক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’র বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান, অধ্যাপক খন্দকার বজলুর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’র বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন। কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, আমরা যদি জাতিকে সাংস্কৃতিকমনা করতে পারতাম, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে চাঙ্গা করতে পারতাম, আরো খেলাধুলার ব্যবস্থা করে দিতে পারতাম তাহলে আজকে ড্রাগ, মাদকাসক্তি, মোবাইল ফোনের যে আসক্তি, এটি মনে হয় বাংলাদেশে থাকত না। এদিক থেকেও আমি শেখ কামালের অভাবটা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছি। তিনি আরো বলেন,বঙ্গবন্ধু সত্যিকার অর্থেই মহা-মানব ছিলেন, ফেরেস্তা ছিলেন। চলো আমরা এই পরিবারের আদর্শে উজ্জীবিত হই। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশকে সত্যিকারের একটি শান্তির, সমৃদ্ধির বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলি, শেখ কামালের জন্মদিনে এটি হোক আমাদের আজকের প্রতিজ্ঞা। ড. মো: রাজ্জাক বলেন, “শেখ কামালের ছিল অনেক বেশি প্রাণ শক্তি, সে ছিল প্রাণ-পূর্তিতে ভরপুর একজন মানুষ। তাঁর যে প্রাণের স্পন্দন, সে স্পন্দ দিয়েই তিনি শিল্পগোষ্ঠী তৈরি করেছেন। আজ যদি শেখ কামাল বেঁচে থাকতো, তাঁর যে গুণাবলির কথা আমরা শুনি, সেও বাংলাদেশের একজন ক্যারেসমেটিক নেতা হয়ে এই সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের দায়িত্ব নিতে পারতো। শেখ কামালের আদর্শ আমাদের আগামী প্রজন্ম যদি অনুসরণ করে তাহলে এই জাতি আরো উন্নত হবে, আরো সৃজনশীল হবে, আরো বিকশিত হবে। কৃষি মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি শুনছি, খেলার মাঠ গুলোতে রাত্রে একেক কোণায় কোণায় ১০-১২ জন করে ছেলে মেয়ে বসে মোবাইল ফোন টিপতে থাকে, আমি জানি না তারা কি করে। আজকে এই শেখ কামালের জন্মদিনে এটাই ভাবছিলাম। আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বিশিষ্ট কলাম লেখক সুভাষ সিংহ রায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’র বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান রুবেল, কমিটির সদস্য ও রমনা কালী মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা, ব্যারিস্টার ফারজানা, ব্যারিস্টার জাকির হোসেন, নাজমুল হোসেন, আব্দুল মালেক সাজু, হামিদ আলম সখা, যতিকা জোতি, আনোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন,সাবেক ছাত্রনেতা তমিজ উদ্দিন তমি । ডেল্টা টাইমস্/রিফাত হাসান রহিম/সিআর/এমই
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |