হজের সফরে যেভাবে নামাজ পড়বেন
ডেল্টা টাইমস্ ডেস্ক:
|
হজের মূল কার্যক্রম পাঁচ দিনের হলেও প্রায় দেড় থেকে দুই মাস আগে থেকে সৌদি আরবে যেতে শুরু করেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা। আবার কেউ কেউ একেবারে হজের মূল কার্যক্রম শুরুর আগ মুর্হুতে সৌদিতে গিয়ে পৌঁছান। হজের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে কাবা শরীফ ছাড়াও সাফা-মারওয়া পাহাড়, মিনা, মুজদালিফা ও আরাফাতের ময়দানে যেতে হয় হাজিদের। সৌদি আরবের বাইরে থেকে আসা হজযাত্রীরা যেহেতু সফরের দূরত্ব পরিমাণ এলাকা পেরিয়ে হজ করতে যান, তাই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে হজের সফরে মক্কায় অবস্থানের সময় তারা নামাজে কসর করবেন নাকি মুকিম ব্যক্তির মতো পুরো নামাজ আদায় করবেন। এ বিষয়ে হানাফী মাযহাবের আলেমরা বলেন, যে হাজিরা মক্কায় এমন সময় পৌঁছেন যে ৮ জিলহজ (হজের প্রথম দিন) থেকে ১২ জিলহজ ( হজের শেষ দিন) পর্যন্ত মক্কায় তাদের অবস্থান ১৫ দিন হয় না, তাহলে তিনি মুসাফির থেকে যাবেন, কারণ তারা ১৫ দিনের মধ্যে মিনা-আরাফাতে অবশ্যই যাবেন, যেতে হবে। তাই এ অবস্থায় তাদের মুকিম হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এমন ব্যক্তিদের মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় কসর করতে হবে। তবে যদি কোনও হজযাত্রী আগে থেকে মক্কা এলাকায় এসে অবস্থান করতে থাকে, যাতে করে তার মক্কায় অবস্থানের সময়কাল ১৫ দিন বা তার বেশি হয় তাহলে তার হজ হজের কার্যক্রম পালনের সময়গুলোতে মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় পুরো নামাজ পড়তে হবে। কারণ, শরয়ী সফর সাব্যস্ত হওয়ার জন্য যতটুকু দূরত্বে সফর করা লাগে, মিনা-আরাফার দূরত্ব কোনোভাবেই সেই আওতায় পড়ে না। কারণ মক্কা থেকে মিনার দূরত্ব তিন মাইল এবং আরাফাহর দূরত্ব ১২ মাইল। অথচ জুমহুর উলামায়ে কেরামের মত অনুযায়ী শরয়ী সফর সাব্যস্ত হওয়ার জন্য কমপক্ষে ৪৮ মাইল হওয়া লাগে। যফর আহমদ উসমানী রহ. লিখেন- মক্কার অধিবাসী এবং যারা মক্কায় মুকীম হিসেবে আছেন তাদের জন্য আরাফায় কসর করা জায়েয হবে না। কারণ মক্কা এবং আরাফাহর মাঝে দূরত্ব কম। কারণ আরাফাহ ১২ মাইলের বেশি দূরত্বে হবে না। এমনিভাবে মিনায় কসর করাও জায়েয হবে না। কারণ মিনার দূরত্বও তিন মাইলের বেশি হবে না। অথচ এতটুকু দূরত্বে নামাজ কসর করার মতামত কোনো ইমামই দেননি।’-(ইলাউস সুনান ৭/৩৪৯২-৩৪৯৩) এ বিষয়ে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত একটি হাদীসে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আহলে মক্কাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘হে মক্কার অধিবাসীরা! তোমরা চার বুরদের কমে (৪৮ মাইল) মক্কা থেকে আসফান পর্যন্ত নামাজ কসর করবে না।’-(তাবরানী ১১/৯৭; বায়হাকী ৩/১৩৩; দারাকুতনী ১/৩৮৭; ইলাউস সুনান ৭/৩৪৯৪) ডেল্টা টাইমস্/সিআর/এমই |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |