শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সুপেয় নিরাপদ পানি আগামী বিশ্বের বড় চ্যালেঞ্জ
মো. জিল্লুর রহমান
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০২৩, ২:০৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

.

.

প্রতিবছর ২২ মার্চ বিশ্বব্যাপী বিশ্ব পানি দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘ সাধারণ সভা ২২ মার্চ তারিখটিকে বিশ্ব জল দিবস বা বিশ্ব পানি দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে জাতিসংঘ পরিবেশ ও উন্নয়ন সম্মেলনের (ইউএনসিইডি) এজেন্ডা ২১-এ প্রথম বিশ্ব জল দিবস পালনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবটি উত্থাপিত হয়। ১৯৯৩ সালে প্রথম বিশ্ব জল দিবস পালিত হয় এবং তারপর থেকে এই দিবস পালনের গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলি এই দিনটিকে নিজ নিজ রাষ্ট্রসীমার মধ্যে জাতিসংঘের জলসম্পদ সংক্রান্ত সুপারিশ ও উন্নয়ন প্রস্তাবগুলির প্রতি মনোনিবেশের দিন হিসেবে উৎসর্গ করে।

পরিবেশের প্রধান চারটি উপাদানের মধ্য অন্যতম একটি উপাদান হচ্ছে পানি। পৃথিবীর মোট আয়তনের প্রায় ৭০ ভাগ জুড়েই রয়েছে পানি। কিন্তু সব পানি ব্যবহার উপযোগী নয়। পৃথিবীর মোট জলভাগের প্রায় ৯৭.৩ ভাগ হচ্ছে লোনাপানি আর বাকি ২.৭ ভাগ হচ্ছে স্বাদু পানি। বিশ্বে স্বাদু পানির প্রায় ৬৯ ভাগ রয়েছে ভূগর্ভে আর প্রায় ৩০ ভাগ মেরু অঞ্চলে বরফের স্তুপ হিসেবে জমা আছে এবং মাত্র ১ ভাগ আছে নদী ও অন্যান্য উৎসে।

পানির অপর নাম জীবন। পানি ছাড়া প্রাণীকুলের অস্তিত্বও চিন্তা করা যায় না। সুপেয় পানির প্রাপ্তির সুযোগ বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। জাতিসংঘ পানি অধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে পানি সুস্থ জীবনের জন্য একটি আবশ্যক উপাদান। কিন্তু সুস্থ জীবনযাপনে একজন মানুষের প্রতিদিন কতটুকু পানি পান করা জরুরি? বিশেষজ্ঞরা বলেন-আমাদের শরীরের ৭০ ভাগের বেশিই হচ্ছে পানি, এজন্য সারা বছরই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। তবে স্বাভাবিক পানির চাহিদা কিন্তু একেক জনের একেক রকম। যেমন-শিশুদের, পুরুষ ও নারীর পানির চাহিদাও ভিন্ন। আবার যারা শারীরিক পরিশ্রম বেশি করে, নিয়মিত ব্যায়াম করে তাদের অন্যদের তুলনায় বেশি পানি পান করতে হয়। নারীদের প্রতিদিন ৬-৮ গ্লাস এবং যারা ব্যায়াম বা ভারী কাজ করে এমন নারীদের ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি দরকার হয়। তবে পুরুষের জন্য ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানিই যথেষ্ট, তবে যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম করে তাদের ১০ থেকে ১৪ গ্লাস পানি পান করা দরকার। তাছাড়া, প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি পান শরীরের জন্য খুব উপকারী। রাতের ঘুম শেষে উঠে খালি পেটে পানি পান করা যায়। যতটুকু পান করা দরকার ততটুকুই পান করা উচিৎ।

মানুষের জীবনের জন্য ভেজালমুক্ত নিরাপদ খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি খুবই অপরিহার্য। সব পানি যেমন পানের যোগ্য নয়, তেমনি সব খাবার স্বাস্থ্যের জন্য সুখকর নয়। এক্ষেত্রে নিরাপদ খাবার ও একমাত্র বিশুদ্ধ পানিই কেবল পানের যোগ্য। তবে প্রতিদিনের খাদ্যই যদি বিষাক্ত হয়, পানি দূষিত ও পানের অযোগ্য হয়, তাহলে আমাদের জীবনে প্রতিমুহুর্তে হুমকির সম্মুখীন হতে হয়। বিশ্বব্যাংক ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর "বাংলাদেশের পানি সরবরাহ, পয়োনিষ্কাশন, স্বাস্থ্য ও দারিদ্র্যের বিশ্লে­ষণ’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে বিভিন্ন উপায়ে সরবরাহ করা খাবার পানির ৪১ শতাংশ ডায়রিয়ার জীবাণু বহন করছে। পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করা ৮০ শতাংশ পানিতে ক্ষতিকর জীবাণু আছে। শহরাঞ্চলে পাইপলাইনে সরবরাহ করা ট্যাপের ৮০ শতাংশ পানিতে ক্ষতিকর জীবাণু ই-কোলাই রয়েছে। প্রতিবেদন  আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, ‘পানির দূষণ ও নিম্নমান’ অনেক অর্জনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। কাজেই এই দূষিত ও মানহীন পানি ব্যবহার করে প্রস্তুত করা খাদ্য সামগ্রীকেও দূষিত করছে। আর সেই দূষিত খাবার আমরা প্রতিদিন গ্রহণ করছি।

বিশ্বের ভূ-গর্ভস্থ পানির প্রায় ৫০ ভাগ পান করা ও ৪০ ভাগ কৃষিতে ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃত হয়। আর বাংলাদশে কৃষি কাজে ব্যবহৃত মোট পানির ৭৮ ভাগ পানি হচ্ছে ভূগর্ভস্ত। যে হারে পানি উত্তোলিত হয় সেই হারে প্রাকৃতিকভাবে সেই পরিমাণ পানি মাটির নিচে সেসব ভূগর্ভস্থ অ্যাকুইফায়ারে যুক্ত হয় না। ইউনিসেফের গবেষণা অনুযায়ী, বছর জুড়ে বিশ্বের অন্তত ৭৬ কোটি মানুষ প্রচণ্ড পানি সংকটে ভোগে যার মধ্যে তিন জনের এক জনই ভারতে৷ এছাড়া পাকিস্তান, মিশর, মেক্সিকো, সৌদি আরব ও ইয়েমেনও এই সংকটপূর্ণ দেশের তালিকায় আছে৷ জলবায়ু বিষয়ক জাতিসংঘের প্যানেলের গবেষণা বলছে, প্রতি ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য ২০ ভাগ বিশুদ্ধ পানি কমে যাচ্ছে৷ এভাবে চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে ৪০ ভাগ এলাকায় পানি সংকট দেখা দেবে৷ তার উপর এ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে পানির চাহিদা বাড়বে প্রায় ৫৫ ভাগ৷

বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত এক গবেষণা মতে, পাইপলাইনের পানির ৮০ ভাগেই ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া রয়েছে৷ পুকুরের পানিতেও একই মাত্রায় এই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া গেছে৷ ৩৮ শতাংশ টিউবওয়লের পানিতেও এই ক্ষতকির অনুজীবের অস্তিত্ব মিলেছে৷ পাকস্থলী ও অন্ত্রের প্রদাহের জন্য ই-কোলাই ব্যাকটরিয়াকে দায়ী করা হয়৷ এজন্য যথাযথ স্যানিটেশন সুবিধা না থাকাও পানি দূষণের একটি বড় কারণ৷ ঢাকায় মাত্র ২০ ভাগ স্যুয়েরেজ পাইপ লাইন রয়েছে আর বাকিটা খোলা৷ আবার সারাদেশে পয়ঃবর্জ্যের মাত্র ২ ভাগ ট্রিটমেন্ট করা হয়৷ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলছে বাকি বর্জ্য মূলত পানিতেই মিশে যাচ্ছে। যার প্রত্যক্ষ উদাহরণ বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর ধ্বংসাবশেষ। বুড়িগঙ্গা ও তুরাগের মত দেশের শহরাঞ্চল দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রায় সব নদী দূষণের প্রভাবে ধ্বংসের প্রায় শেষ প্রান্তে।

দেশে চাষাবাদের জন্য যোগ্য পানির অভাব দিন দিন বেড়েই চলছে। উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে লবণাক্ততা আর উত্তরের জেলাগুলোতে শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদের পানি সংকট বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানির অভাবে সেসব অঞ্চলে চাষাবাদের ধরনও পরিবর্তন হয়েছে। যেমন উত্তর ও উত্তর পশ্চিম অঞ্চলের জেলাগুলোতে আগে যারা ধান চাষ করত তারা এখন ফল ও ফুল চাষে মনযোগ দিচ্ছে। আর উপকূলীয় জেলাগুলোতে চাষিরা লবণ সংগ্রহ ও চিংড়ি চাষে মনযোগ দিচ্ছে।

বাংলাদেশে পানি সংকটের অনেক কারণ রয়েছে। বাংলাদেশের পানি নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথের তথ্য মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাবে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়া, বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাওয়া, নদী শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় সেচের পানির পাশাপাশি সুপেয় পানির পরিমাণও কমতে শুরু করেছে। তিস্তা ও ফারাক্কা বাঁধ উত্তর ও উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে শুষ্ক মৌসুমে পানি সংকটের মূল কারণ। এছাড়াও নদীগুলোতে পলি জমা হয়ে নাব্যতা কমে যাওয়ার কারণে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবেও মিঠা পানির সংকট দেখা দিচ্ছে। যেমন মেরু অঞ্চলে জমে থাকা বরফের স্তুপ গলে সমদ্র পৃষ্টের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে লোনাপানির প্রবেশ বাড়ছে। এছাড়াও ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক, পারদ, লোহা, ক্রোমিয়াম, নাইট্রেট, ফ্লোরাইড ও অন্যান্য ধাতব পদার্থ ও দূষক ইত্যাদিও বিশুদ্ধ পানি সংকটের অন্যতম কারণ।

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের ১৭ টি লক্ষ্যের মধ্যে ৬ নম্বরটি সুপেয় পানি নিয়ে যা ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ নাগরিকের জন্য নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউনিসেফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৯৮ ভাগ মানুষের জন্য পানির কোনো-না-কোনো উৎস রয়েছে৷ কিন্তু এর সবটাই পানযোগ্য নয়৷ নিরাপদ বা সুপেয় পানি পাচ্ছে শতকরা ৫৬ ভাগ মানুষ৷ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ এবং বাংলাদেশ সরকারের জয়েন্ট মনিটরিং প্রোগামের সর্বশেষ হিসেবে অনুযায়ী তা ৮৭ ভাগ বলা হয়েছে। তবে পানির দূষণ হিসাব করলে ৪৪ ভাগ মানুষ নিরাপদ ও সুপেয় পানির আওতার বাইরে আছে৷ তবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে ২০৩০ সালের মধ্যে পানির ৪টি দিক নিশ্চিত করতে হবে৷ সেগুলো হল প্রাপ্যতা, প্রবেশগম্যতা, গুণগত মান এবং পানি পাওয়ার আর্থিক সক্ষমতা৷ বাংলাদেশ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফল বলা যায় কিন্তু টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সময় আছে হাতে মাত্র ৮ বছর৷

জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলির পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও পরিচ্ছন্ন জল ও জলসম্পদ রক্ষা সম্পর্কে জনসচেতনতা গড়ে তোলার জন্য পানি দিবসে বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করে। নদীমাতৃক বাংলাদেশে পানি এবং টেকসই উন্নয়ন একে-অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পানি ছাড়া যেমন আমাদের জীবন অচল; তেমনি জলবায়ু ও প্রকৃতি- যা আমাদের জীবন ও জীবিকার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত তার স্বাভাবিক প্রবাহের জন্যও পানি অপরিহার্য। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে পরিণত করার লক্ষ্যে আমাদের সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে কাজ করছে পৃথিবীর প্রায় সব দেশ।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এক প্রতিবেদনে জানায়, ভূগর্ভস্থ পানির উৎস দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। পাশাপাশি সংস্থাটি সারাবিশ্বের জন্য অন্যতম প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে সুপেয় ও বিশুদ্ধ পানির স্বল্পতাকে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বের ৬৬ কোটি ৩০ লাখ মানুষ পানযোগ্য পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত। মানসম্মত পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে আরও প্রায় ১৮০ কোটি মানুষ। প্রতি বছর পানিসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রোগে, দূষিত পানি পানের কারণে লাখ লাখ মানুষ মারা যায়। এ পরিস্থিতিতে সব মানুষের নিরাপদ পানি পাওয়ার অধিকার রয়েছে এবং মানুষের বেঁচে থাকার জন্য পানি পাওয়ার অধিকার অস্বীকারের কোনো সুযোগ নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পানি হবে ভবিষ্যৎ মানবজাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। দেশে দেশে পানির স্বল্পতা ও আন্তরাষ্ট্রীয় বিবাদ বিশ্বে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ডেকে আনতে পারে এবং এ কারণে সুপেয় নিরাপদ পানি প্রাপ্তি হবে আগামী বিশ্বের বড় চ্যালেঞ্জ।


লেখক : ব্যাংকার ও কলামিস্ট ।


ডেল্টা টাইমস্/মো. জিল্লুর রহমান/সিআর/এমই

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
  এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।

ফোন: ০২-৪৭১২০৮৬১, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।
ফোন: ০২-৪৭১২০৮৬১, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com