আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলের পদত্যাগ দাবি বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের
ডেল্টা টাইমস্ ডেস্ক:
|
আইনজীবী সমিতির মতো একটি সমিতির নির্বাচনেও পুলিশকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের নিজেদের প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করতে হয় অভিযোগ করে ঘটনাটিকে লজ্জার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। এ নির্বাচনে আইনজীবী-সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলের পদত্যাগ দাবি করেছেন তারা। একই সঙ্গে আবার নির্বাচনের দাবিও করা হয়। রোববার (১৯ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির হল রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল এ দাবি করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপি সমর্থিত সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল। লিখিত বক্তব্যে কাজল বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে আইনজীবীদের পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষেরও ব্যাপক আগ্রহ ছিল। কিন্তু আমরা দুর্ভাগ্যজনকভাবে লক্ষ্য করেছি যে, দেশের অন্য সকল নির্বাচনের মতো দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের সমিতির নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যে রাজনৈতিক চরিত্র তার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ‘আইনগতভাবে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলেও নির্বাচনের নাটক সাজিয়ে একতরফাভাবে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের অবৈধভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনেও একই ধরনের প্রহসনের নির্বাচন করা হয়েছে।’ সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ঘিরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কতিপয় অতি উৎসাহী আইনজীবী ও পুলিশের নারকীয় তাণ্ডব আইনজীবী হিসেবে সমাজের কাছে আমাদেরকে হেয় করেছে। এটা শুধুমাত্র আইনজীবী সমাজেরই নয়, পুরো জাতির জন্যই কলঙ্কজনক।’ এ ঘটনার বিষয়বস্তু নিয়ে তারা প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয়েছেন উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘সভাপতি ও সম্পাদক পদপ্রার্থী একাধিকবার প্রধান বিচারপতি, আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন ও সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া পুলিশের তাণ্ডবে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের আহত হওয়ার বিষয়ে প্রতিকার প্রার্থনা করা হয়েছে।’ আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘এরপরও একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা সম্ভবপর হয়নি। পুলিশি তাণ্ডবের কোন দৃশ্যমান প্রতিকার হয়নি। আমাদের দুঃখ, আইনজীবীদের একটি সমিতির নির্বাচনেও পুলিশকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের নিজেদের প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করতে হয়! এটা বড় লজ্জার বিষয়।’ নতুন করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করে ফের নির্বাচন করতে হবে বলে দাবি করেন তারা। দুই দিনব্যাপী নির্বাচনের শেষ দিন গত ১৬ মার্চ রাতে ওই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে ১৪টি পদের সব কটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল জয়ী হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, এবারের নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ নীল প্যানেলের আইনজীবীরা। ডেল্টা টাইমস্/সিআর/এমই
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |