কারাবন্দি মাহি
সিনেমার মানুষ চুপ, প্রতিবাদে তিন নির্মাতা
ডেল্টা টাইমস্ ডেস্ক:
|
![]() আশফাক নিপুণ, রেদওয়ান রনি, শিহাব শাহীন ও গ্রেপ্তার মাহিয়া মাহি বর্তমানে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মাহিয়া মাহি। সম্প্রতি সৌদি আরবে গিয়েছিলেন ওমরাহ করতে। ফিরেই হলেন কারাবন্দী। এই ঘটনায় তার ভক্তরা বিস্মিত, ক্ষুব্ধ। তবে মাহি যে অঙ্গনের মানুষ, সেই ঢালিউড পাড়ায় বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা! চাপা উত্তেজনার আভাস টের পাওয়া গেলেও মুখ খুলছেন না কেউই। এই ঘটনার পক্ষে বা বিপক্ষে তেমন কারও মন্তব্য পাওয়া যাচ্ছে না। সোশ্যাল মিডিয়াতেও কেউ কিছু বলছেন না। অবশ্য কথিত এফডিসি ঘরানার বাইরের তিন নির্মাতা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা হলেন শিহাব শাহীন, রেদওয়ান রনি ও আশফাক নিপুণ। নিজ নিজ কাজের বাইরে তারা বরাবরই দেশ ও সমাজের নানা অসঙ্গতি নিয়ে কথা বলেন। চুপ থাকেননি মাহি ইস্যুতেও। শিহাব শাহীন তার সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘আরাভ খান (দুবাইয়ে পালিয়ে থাকা পুলিশ সদস্য হত্যা মামলার আসামি) থেকে দৃষ্টি সরে যাবে সবার। মাহিকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানাই।’ অন্যদিকে আশফাক নিপুণ লিখেছেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে গ্রেপ্তারে নিন্দা। অবিলম্বে এই আইন বাতিল করতে হবে।’ একই সুরে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রেদওয়ান রনিও। তার স্ট্যাটাস এরকম, ‘মাহিয়া মাহিকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানাই। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।’ এই নির্মাতাদের পোস্টের কমেন্ট বক্সে অন্যান্য নেটিজেনরাও একাত্মতা প্রকাশ করছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার এবং একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীর প্রতি এ আচরণের নিন্দা জানাচ্ছেন তারা। উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৭ মার্চ) ভোরে সৌদি আরব থেকে ফেসবুক লাইভে এসে মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকার অভিযোগ করেন, গাজীপুরে তাদের গাড়ির শো-রুমে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় তারা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বিরুদ্ধে ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগও তোলেন। এদিন রাতেই মাহি ও রকিব সরকারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। বাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রোকন মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এ ছাড়া জমি দখলের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হুকুমের আসামি করে আরও একটি মামলা করেন স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন। এসব মামলার সূত্রেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে মাহিকে। ডেল্টা টাইমস্/সিআর/এমই
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |