অ্যাসিডিটি দূর করতে নিয়মিত খাবেন যে ৫ খাবার
ডেল্টা টাইমস্ ডেস্ক:
|
বেশিরভাগ সময়েই আমরা হজমের সমস্যাকে তেমন একটা গুরুত্ব দেই না। কারণ এটি সাময়িক সময়ের জন্য অসুবিধার সৃষ্টি করে। এই ধরনের সমস্যাকে তখনই গুরুত্ব দিয়ে থাকি যখন এটি জটিল রূপ ধারণ করে থাকে। কিন্তু সঠিক সময়ে এর প্রতিকার না করলে স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ হতে পারে। হজমের সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অ্যাসিডিটি। অ্যাসিডিটির কারণে পাকস্থলী, বুক এবং গলায় জ্বালা হতে পারে। ঘন ঘন অ্যাসিডিটি গ্যাস্ট্রোসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (জিইআরডি) এর মতো গুরুতর সমস্যার কারণ হতে পারে। * বমি বমি ভাব * পেটে ফোলাভাব * কোষ্ঠকাঠিন্য * ক্ষুধা হ্রাস চলুন জেনে নেওয়া যাক অ্যাসিডিটি প্রতিকারে ৫টি ঘরোয়া খাবার সম্পর্কে- দুধ এবং দই : ঠান্ডা দুধ অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয়। দুধ একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড এবং এটি ক্যালসিয়াম লবণ সমৃদ্ধ যা অ্যাসিডকে নিষ্ক্রিয় করে। দই অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণের আরেকটি উপায়। ক্যালসিয়াম ছাড়াও এটি একটি প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক যা হজমে সাহায্য করে। আজওয়াইন : আজওয়াইন সীড গ্যাস্ট্রিক এবং হজমের সমস্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বায়োকেমিক্যাল থাইমল আজওয়ানের একটি সক্রিয় উপাদান যা হজমে সহায়তা করে। আজওয়াইন বীজ এক চিমটি লবণের সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে। অথবা এক চা চামচ সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে পান করতে পারেন। মৌরি : খাওয়া শেষে মৌরি খাওয়া আমাদের ঐতিহ্যের একটি অংশ। এটি হজমে সাহায্য করে এবং মুখের গন্ধ দূর করতেও সাহায্য করে। এটি মিছরি জাতীয় কোনো কিছুর সঙ্গে খেতে পারেন। এছাড়া সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে পান করতে পারেন। চা হিসেবেও পান করতে পারেন। মধু : গবেষণায় দেখা গেছে, উষ্ণ পানির সঙ্গে এক চা চামচ মধু খেলে অ্যাসিডিটি দূর হয়। এতে লেবুর রস যোগ করলে এটি ক্ষারীয় এজেন্টে পরিণত হয়, যা অ্যাসিডকে নিষ্ক্রিয় করে। ধনিয়া : অ্যাসিডিটি মোকাবেলায় ধনিয়া পাতা এবং এর শুকনো বীজ উভয়ই ব্যবহার করা যেতে পারে। ধনিয়ার রস পানি কিংবা বাটারমিল্কে যুক্ত করে পান করা যেতে পারে।। শুকনো ধনিয়া বীজের গুঁড়া রান্নায় যোগ করা যেতে পারে। এটি চা হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে। বমি বমি ভাব এবং পেট ফোলা দূর করতেও কাজ করে ধনিয়া। ডেল্টা টাইমস্/সিআর/এমই |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |