জাতীয় রাজস্ব আদায়ে আয়করের ভূমিকা
মো. জিল্লুর রহমান
|
![]() . আয়কর আমাদের অথর্নীতির গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিত্তি ও অনুষঙ্গ। সরকারের রাজস্ব আয়ের একটি বড় খাত আয়কর। নাগরিকদের দেয়া কর থেকে যে আয় হয়, সরকার রাষ্ট্রের উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, আমাদের দেশের সক্ষম অনেকে আয়কর দেয় না। দেশের মোট সক্ষম জনসংখ্যার অনুপাতে মাত্র ৮০ লাখ ইটিআইএন (রিটার্ন জমা দেন মাত্র ২৪ লাখ) এর সংখ্যাটি নিতান্তই হতাশাব্যঞ্জক। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আয়কর দাতার সংখ্যা বাড়াতেই হবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আয়কর প্রদান ও আদায়ের হার বৃদ্ধি করতে হবে। যাদের আয়সীমা কর দেয়ার মধ্যে রয়েছে, তাদের উচিত সময়মতো কর পরিশোধ করা। কর ফাঁকি কিংবা কর দিতে অনীহা দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়। মূলত যাদের মধ্যে কর ফাঁকি দেয়ার প্রবণতা রয়েছে, তারা রাষ্ট্রকে ফাঁকি দিচ্ছেন না, আদতে নিজেকেই ফাঁকি দিচ্ছেন। আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অর্থ সরকার পরোক্ষ করের আওতা বাড়িয়ে রাজস্ব আদায় করে নেয়া এবং সেটা ধনী দরিদ্র সকলের উপর আরোপ করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের রাজস্বের প্রধান তিনটি উৎস হলো দুই প্রকার পরোক্ষ কর যথা আমদানী শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর এবং দুই প্রকার প্রত্যক্ষ কর যথা আয় কর এবং সম্পদ কর। এছাড়া কতিপয় পণ্যের দেশজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে আবগারী শুল্ক আদায় করা হয়। উপরন্তু প্রয়োজনীয় রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যে আমদানী পর্যায়ে এবং স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক আদায় করা হয়ে থাকে। সরকারের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সংযুক্ত প্রতিষ্ঠান এনবিআর বাংলাদেশে কর নীতি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করে। সরকারি আয়ের প্রধান উৎস হলো কর রাজস্ব বাবদ সংগৃহীত অর্থ। মূলত প্রত্যক্ষ কর ও পরোক্ষ কর এই দুই ধরনের করের সমন্বয়ে কর রাজস্ব গঠিত এবং এখাত থেকে সরকারের মোট আয়ের ৭০ শতাংশের বেশি সংগৃহীত হয়। অবশিষ্ট ৩০ শতাংশ রাজস্ব সংগৃহীত হয় কর-বহির্ভূত বিভিন্ন খাতের রাজস্ব আদায় (ফি, মাসুল ইত্যাদি) থেকে। রাজস্ব সংগ্রহের হার একটি দেশের উন্নয়নের স্তর বা অবস্থান নির্ধারণের অন্যতম স্বীকৃত নির্ণায়ক। যে দেশের অর্থনীতি যত শক্তিশালী সেখানকার রাজস্ব সংগ্রহের হারও তত বেশি। আমাদের দেশে মোট 'রাজস্ব-দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) অনুপাত' ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরের ৮.৪৭ শতাংশ থেকে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ১১.৩ শতাংশে উন্নীত হয়। কিন্তু ২০২০-২১ অর্থবছরে তা হ্রাস পেয়ে রাজস্ব জিডিপির অনুপাত ছিল ১০.৩০ শতাংশ, যা হতাশাজনক চিত্র। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মূদ্রা তহবিলের প্রতিনিধিদল সরকারকে এ অনুপাত ১৫ শতাংশ উন্নীত করার পরামর্শ দিয়েছে। আয়কর হচ্ছে ব্যক্তি বা সত্ত্বার আয় বা লভ্যাংশের উপর প্রদেয় কর। আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর আওতায় কর বলতে অধ্যাদেশ অনুযায়ী প্রদেয় আয়কর, অতিরিক্ত কর, বাড়তি লাভের কর, এতদসংক্রান্ত জরিমানা, সুদ বা আদায় যোগ্য অর্থকে বুঝায়। অন্য ভাবে বলা যায় যে, কর হচ্ছে রাষ্ট্রের সকল জনসাধারনের স্বার্থে রাষ্ট্রের ব্যয় নির্বাহের জন্য সরকারকে প্রদত্ত বাধ্যতামূলক অর্থ। আয়কর যা আয় বা লভ্যাংশের পরিমান ভেদে পরিবর্তিত হয় এবং আমাদের দেশে প্রগতিশীল কর প্রয়োগ করা হয়। প্রগতিশীল কর হচ্ছে সেই কর ব্যবস্থা যাতে করদাতার আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে করহার বৃদ্ধি হয়। আয়কর আরোপিত হয় করদাতার কর পরিশোধ করার ক্ষমতার উপর। তাই আয়করকে প্রগতিশীল কর বলা হয়। আয়কর অধ্যাদশে ১৯৮৪ অনুযায়ী আয়ের খাত সমূহ হচ্ছে বেতনাদি, নিরাপত্তা জামানতের উপর সুদ, গৃহ সম্পত্তির আয়, কৃষি আয়, ব্যবসা বা পেশার আয়, মূলধনী মুনাফা, অন্যান্য উৎস হতে আয়, ফার্মের আয়ের অংশ, স্বামী/ স্ত্রী বা অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের আয়। তবে রিটার্ন জমা দেয়ার সময় আয়ের খাতগুলি সম্পৃক্ত করতে হয়। বর্তমান সরকারের দুই মেয়াদে গত ১০ বছরে আয়কর খাত থেকে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। তবে প্রবৃদ্ধির হার কমেছে। এনবিআর এখন প্রবৃদ্ধির হারও বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছে। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে আয়কর আদায় হয়েছিল ১৪,২৭৪.২১ কোটি টাকা। সরকারের প্রথম মেয়াদ শেষ ও দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুর বছর ২০১৩-১৪ কর আদায় ছিল ৪৩,৮৪৮.৫২ কোটি টাকা। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কর আদায় হয় ৬৫,৬৯৫.১৯ কোটি টাকা। আর এনবিআরের সর্বশেষ তথ্যমতে, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে এনবিআর সব মিলিয়ে প্রায় ৩,০১,৬৩৩ কোটি টাকা শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং আয়কর আদায় করেছে যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২৮ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা কম। ২০২১-২২ অর্থবছরের ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজটে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা এর মধ্যে এনবিআরের মূল লক্ষ্য ছিল ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে ভ্যাট খাত থেকে ১ লাখ ৮ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। ভ্যাটের পর আয়কর থেকে প্রায় ১ লাখ ৩ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। রাজস্বের বাকি প্রায় ৮৯ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা শুল্ক খাত থেকে এসেছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি পেরিয়ে গেছে অথচ মাত্র ৮০ লাখের অধিক নাগরিকের কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) আছে। কিন্তু ২০২০-২১ বছরে আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দিয়েছেন মাত্র ২৪ লাখ। তাঁদের মধ্যে ৮-৯ লাখ সরকারি কর্মকর্তা। প্রতি মাসে বেতন–ভাতা প্রদানের সময় ‘পে রোল ট্যাক্স’ হিসেবে কেটে রাখা হয়। অন্যদিকে যাঁরা বছর শেষে রিটার্ন জমা দেন, তাঁদের কমবেশি ১০ শতাংশ শূন্য রিটার্ন জমা দেন। এর মানে, তাঁরা কোনো কর দেন না। কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে তাঁদের কোনো ভূমিকা থাকে না। মোট জনগোষ্ঠীর মাত্র ১ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ কর দেন যা খুবই হতাশার চিত্র। অথচ দক্ষিণ এশিয়ায় জনসংখ্যার অনুপাতে সবচেয়ে বেশি কর দেন ভুটানের নাগরিকেরা। ভুটানের জনসংখ্যা ৭ লাখ ৫৪ হাজার এর মধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রায় ৮৮ হাজার করদাতা রিটার্ন দিয়েছেন। জনসংখ্যার ১১ শতাংশের বেশি প্রত্যক্ষ করের আওতায় আছেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নেপালের জনসংখ্যা ২.৮০ কোটির মধ্যে ৩০ লাখ (প্রায় ১১ শতাংশ) করদাতা কর দেন। পাকিস্তানের জনসংখ্যা প্রায় ২০ কোটি এবং তাঁদের মধ্যে ২৫ লাখের বেশি করদাতা আছেন। তবে ১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতে ১.৪৬ কোটি (দেড় শতাংশ) মানুষ কর দেন। আগে মানুষ কর দিতে ভয় পেত, কর কমিশনের লোকজনের কথা শুনলে মানুষ পালিয়ে বেড়াত। কিন্তু এখন মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি অনেক বদল হয়েছে। মানুষ নিজের ইচ্ছায় কর দিতে আগ্রহী হয়ে উঠছে। কারণ, কর দিলে যে সম্মাননা পাওয়া যায়, সেটা পেলে সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো যায়। সরকার সর্বোচ্চ করদাতাদের পুরস্কৃত ও নানা সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। এ কারণেও অনেকে কর প্রদানে উৎসাহিত হচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতের মূল্য সংযোজন দ্বিগুণ হয়েছে। মাথাপিছু গড় আয়ও বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। কিন্তু তাল মিলিয়ে করদাতার সংখ্যা বাড়াতে পারেনি এনবিআর। এনবিআর প্রতিবছর নতুন করদাতার খোঁজে নানা ধরনের কর্মসূচি নেয়। এই কর্মসূচিতে শুধু টিআইএন দেওয়া হয়। এতে টিআইএনধারীর সংখ্যা বাড়ে। কিন্তু টিআইএন নিয়ে পরের বছর থেকে কতজন রিটার্ন দিয়ে কর দিলেন, তা খুঁজে দেখে না এনবিআর। এক্ষেত্রে ছোট করদাতাদের চেয়ে বড় করদাতাদেরই কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ বেশি। ২০০৮ সালে দেশে প্রথম আয়কর দিবস পালন শুরু হওয়ার পর বহু করদাতা কর বিষয়ে সচেতন এবং উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। আয়করের প্রতি দেশের মানুষের আগ্রহ যেমন বেড়েছে, পাশাপাশি বেড়েছে আয়করদাতাদের সংখ্যাও। নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর একজন করদাতাকে নির্ধারিত সময়ে রিটার্ন জমা দিতে হয়। এই লক্ষ্যে গত কয়েক বছর ধরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নভেম্বর মাসে সারা দেশে আয়কর মেলা আয়োজন করে আসছে। গত বছর থেকে সরকার অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি বছর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রিটার্ন জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এবারও এর ব্যতিক্রম করা হয়নি। তবে, এখনও টিআইএনধারী এবং রিটার্ন জমাদানকারীর মধ্যে বিশাল পার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে। টিআইএনধারীরা যদি রিটার্ন দাখিল না করেন তাহলে এনবিআরের কাছে তাদের তথ্য থাকে না। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত জটিলতার কারণে অনেকে কর দিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এক্ষেত্রে এনবিআরকে রাষ্ট্রের স্বার্থে করদাতাবান্ধব সার্বজনীন ফরম তৈরি ও সহজে বিতরণের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে বাড়বে রিটার্ন দাখিলকারী, বাড়বে সরকারের রাজস্ব আয়। কর রিটার্ন সহজিকরণের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের জন্য অনলাইন রিটার্ন ব্যবস্থা বৃহৎ পরিসরে চালু করে। এ বছর ২৫ আগস্ট অনলাইন রিটার্ন জমার সুবিধা চালু করা হয়। গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায় প্রথম তিন মাসেই অনলাইনে রিটার্ন জমা এক লাখ ছাড়িয়েছে এবং সব মিলিয়ে এ সময়ে অনলাইনে রিটার্ন জমা ও অন্যান্য সেবার জন্য আড়াই লাখ ব্যক্তি নিবন্ধন করেছেন। এনবিআর আশা করছে, চলতি বছর পাঁচ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দিবে। উল্লেখ্য, প্রতিবছর ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন দেওয়া যায়। সশরীর ও অনলাইনে—দুইভাবে রিটার্ন জমার সুযোগ আছে। গত বছর সব মিলিয়ে প্রায় ৭২ হাজার করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছিলেন। এর আগে ২০১৬ সালে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। চার বছর চালু থাকার পর ২০১৯ সালে বন্ধ হয়ে যায়। তখন প্রতি বছর গড়ে ৫-৬ হাজার করদাতা বার্ষিক রিটার্ন জমা দিতেন। অনলাইনে রিটার্ন দাখিল প্রকল্পের ঠিকাদার ভিয়েতনামের একটি প্রতিষ্ঠান কাজ বুঝিয়ে না দিয়ে হঠাৎ চলে যায়, ফলে ২০১৯ সালের পর আর কেউ অনলাইনে রিটার্ন দিতে পারেননি। পরে ২০২০ সালের নভেম্বরে এনবিআর আয়কর বিভাগের একটি বিশেষ দল নতুন অনলাইন ব্যবস্থা চালু করে। বর্তমানে অনলাইনে রিটার্ন জমা, কর পরিশোধ, রিটার্ন প্রস্তুত, নিবন্ধন নেওয়াসহ যাবতীয় কাজ করা যায়। এমনকি রিটার্ন জমার প্রাপ্তি স্বীকার পত্রও পাওয়া যায়। অনলাইনে রিটার্ন দিতে হলে অবশ্য প্রথমে এনবিআরের ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হয়। নিজেদের অর্থে যদি আমরা দেশের উন্নয়ন করতে পারি, তাহলেই আমরা বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব। বিশ্বব্যাংক বা অন্য কোনো বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সহায়তা নিয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করলে তা পারব না। তাই আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য স্বপ্রণোদিত হয়ে আয়কর দিতে হবে, দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে। এই করের টাকা দিয়ে দেশের বড় বড় উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছে। পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল প্রকল্প, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ এ করের টাকায়ই হচ্ছে। এক সময় বাজেটের একটি বড় অংশ বিদেশী দানের উপর নির্ভর করতে হতো কিন্তু এখন অনেকটাই দেশীয় রাজস্ব আহরণ থেকে যোগান দেওয়া হচ্ছে। এটা দেশের জন্য অবশ্যই ইতিবাচক ও স্বস্তিদায়ক খবর। অনেকে কর দেওয়ার সময় যতটা সম্ভব কম দেওয়ার চেষ্টা করেন। এটা ঠিক নয়। সঠিক সময়ে যথাযথভাবে স্বেচ্ছায় কর প্রদান ও রিটার্ন জমা দেয়া দেশপ্রেমের একটি অনন্য উদাহরণ। তাই সঠিকভাবে সবার কর দেওয়া উচিত। এ জন্য আসুন সবাই মিলে কর দিই, দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতিতে সবাই মিলে ভূমিকা রাখি। লেখক : ব্যাংকার ও কলামিস্ট । ডেল্টা টাইমস্/সিআর/এমই |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |