তাজরীন ট্র্যাজেডির ১০ বছরেও মেলেনি ন্যায়বিচার
ডেল্টা টাইমস্ ডেস্ক:
|
![]() ফাইল ছবি তবে এই দীর্ঘ সময়েও ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণ পায়নি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। এরই মধ্যে অনেক শ্রমিক পরিবার আশুলিয়া ছেড়েছেন। যদিও রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, সাক্ষ্য দিতে শ্রমিকরা আদালতে না আসায় মামলার বিচারকাজ এগোচ্ছে না। আসামিপক্ষের আইনজীবীদের দাবি, দীর্ঘদিনেও মামলা শেষ না হওয়ায় আসামিরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে আদালতে গেলে তাদের হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। এদিকে তাজরীন ট্র্যাজেডির ১০ বছর স্মরণে গতকাল বুধবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারখানাটির সামনে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি। ‘মৃতদের স্মরণ কর, জীবিতদের জন্য লড়াই কর’- এ আহ্বানে এ সময় বক্তারা দোষীদের শাস্তি ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন দাবি জানান। সেখানে বক্তারা বলেন, ২৪ নভেম্বর ২০১২ সাল দুনিয়ার কারখানার ইতিহাসে এবং বাংলাদেশে একটি স্মরণীয় দিন। ১০ বছর পার হলেও এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার দীর্ঘসূত্রিতা, বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং স্বজনপ্রীতির দোষে আজও শাস্তি হয়নি তাজরীনের দোষী মালিক দেলোয়ার হোসেনসহ অন্যান্যদের। বদল হয়নি ক্ষতিপূরণের আইন, করা হয়নি ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ পুনর্বাসন। ![]() ফাইল ছবি ওই ঘটনায় আশুলিয়া থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়রুল ইসলাম অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের পর ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডির পুলিশের ইন্সপেক্টর একেএম মহসীনুজ্জামান। মামলায় চার্জশিটভুক্ত মোট ১৩ আসামির মধ্যে চারজন পলাতক এবং জামিনে আছেন ৯ জন। আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির মালিক দেলোয়ার হোসেন, চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, লোডার শামীম, স্টোর ইনচার্জ (সুতা) আল আমিন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি সুপার ভাইজার আল আমিন, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম লাভলু, অ্যাডমিন অফিসার দুলাল উদ্দিন, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, সিকিউরিটি গার্ড রানা ওরফে আনোয়ারুল, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক, প্রোডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন মঞ্জুর ও কোয়ালিটি ম্যানেজার শহীদুজ্জামান দুলাল। তাদের মধ্যে আল-আমিন, রানা, শামীম ও মোবারক পলাতক। ডেল্টা টাইমস্/সিআর/একে |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |