গণতন্ত্রের প্রসারে সামাজিক মূল্যবোধ
রায়হান আহমেদ তপাদার
|
বিশ শতকে গণতন্ত্রের জোয়ার বয়ে গিয়েছিল বিশ্ব ব্যবস্থায়। গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ছিল উন্নয়ন মডেলের একটি মৌলিক উপাদান। এর মধ্যেই জনগণের প্রকৃত মৌলিক অধিকারের বিষয়টি খোঁজা হয়েছিল। তাই দেশে দেশে ছিল গণতন্ত্রের জয়জয়কার। তবে একুশ শতকের পৃথিবীতে গণতন্ত্রের বিপরীতে কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থাকে একটি উন্নয়ন মডেল হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হলেও তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হুচট খাচ্ছে। যা গণতন্ত্রের জন্য একটি হুঁশিয়ারিমূলক বার্তা। স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তির আগে সামরিক শাসন ছিল বিশ্বরাজনীতিতে একটি অনিবার্য বাস্তবতা। স্নায়ুযুদ্ধোত্তর রাজনীতিতে সামরিক হস্তক্ষেপের প্রবণতা অনেকটা কমে গেলেও তা একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায়নি। এখনো আফ্রো-এশিয়ার অনেক দেশেই সামরিক শাসনের উপস্থিতি লক্ষণীয়। সামরিক বাহিনী কোনো কোনো দেশে প্রত্যক্ষভাবে শাসন না করলেও পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করছে। যদিও সামরিক বাহিনীর প্রভাব স্নায়ুুযুদ্ধ কালীন অবস্থা থেকে দুর্বল হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। অতি সম্প্রতি বাংলা দেশের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণতন্ত্র বিকশিত হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে। আর কেনইবা হবে না,কারণ মানুষ ও সমাজের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান। তবে সমাজ ব্যবস্থা শুধু মানুষের মধ্যে বিরাজমান তা নয়, আমরা একটু গভীরভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাই যে ক্ষুদ্র পিপীলিকা থেকে শুরু করে সকল প্রাণীকুলের মাঝেই এই সমাজব্যবস্থা বিদ্যমান।তাইতো বিশ্ববিখ্যাত গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল বলেছিলেন,মানুষ স্বভবতই সামাজিক জীব। জীবজন্তুরাও মানুষের মতোই নিজ নিজ জ্ঞাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে সমাজবদ্ধ হয়ে চলাফেরা করে। তবে মানুষ আর জীবজন্তুর মধ্যে পার্থক্য হলো-মানুষের আছে বিবেক বিবেচনাবোধ যা অন্য প্রাণীর মধ্যে থাকে না। এই বিবেকের কারণেই মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। এই শ্রেষ্ঠ জীবের প্রতি দায়িত্ব বর্তায় সকল সৃষ্টিকুলকে ভাল রাখা। তাই মানুষ সুন্দর পৃথিবী বিনির্মাণে ও নানা মুখী উদ্দেশ্য সাধনের নিমিত্তে প্রকৃতির রাজ্য থেকে বেরিয়ে সংঘবদ্ধভাবে বসবাস করার তাগিদ অনুভব করে এবং সমাজ গঠন করে। সমাজে যেহেতু একই সঙ্গে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, পেশা ও শ্রেণীর লোক একত্রে বসবাস করে সেহেতু সমাজের গরিব, অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সবার কর্তব্য। কিন্তু এ দায়িত্ব কর্তব্যের কথা আমরা প্রায়শই ভুলে যাই নিজেদের ভোগ বিলাস ও ঐশ্বর্যে মেতে থাকার কারণে। আমদের উচিত নিজেদের ভোগ-বিলাসের সামান্য অংশ সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেয়া। যারা মানব কল্যণে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন তারাই পৃথিবীতে স্মরণীয় ও বরণীয়। জাতির কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ কখনও মরে না। স্মরণের আবরণে তাদের মৃত্যু ঢাকা পড়ে। সত্যিই নিজের স্বার্থের জন্যই কেবল জীবন নয়। পরার্থে জীবন উৎসর্গ করার মাধ্যমেই মানবজীবন সার্থকতায় ভাস্বর হয়ে উঠে।শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকলে সমাজের কোন পরিবর্তন আসবে না। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের দিকে। ভাবতে হবে চারপাশের মানুষগুলো কেমন আছে? কিন্তু বিজ্ঞানের এই যুগে ক্রমেই আমরা যান্ত্রিক ও আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছি। মানুষের প্রতি মানুষের মমত্ববোধ, সহমর্মিতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ কমে যাচ্ছে, নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটছে। এতে সমাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সামাজিক মূল্যবোধই পারে সমাজের রূপ বদলে দিতে। মোটকথা, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে একে অপরের সুখ-দুঃখের অংশীদার হওয়া ও সাধ্যমতো সাহায্য-সহযোগিতা করার মানসিকতাই হোক আমাদের আগামী দিনের মূলমন্ত্র। গত জুনের শেষের দিক এবং জুলাইয়ের প্রথম দিকের সময়টার কথা চিন্তা করুন। ফ্রান্সের আগাম নির্বাচনে অতি ডানপন্থীরা পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পথে ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবাদী বিচারকেরা ভালোয় ভালোয় সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আইনি সমস্যাগুলোর সমাধান করছিলেন এবং টিভি বিতর্কে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিপর্যয়কর পরাজয়ের পর ট্রাম্পকে জয়ের একেবারে দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছেন বলে মনে হচ্ছিল। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যে উদারপন্থী দল লেবার পার্টি যখন সরকার গড়ছিল, তখন সেখানে অভিবাসনবিরোধী আন্দোলন ও ব্রেক্সিট আন্দোলনের নেতা নাইজেল ফারাজের নতুন একটি দল অভূতপূর্ব ফল করেছে। এসব দেখে বৈশ্বিক রাজনীতিবিষয়ক পণ্ডিতেরা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, প্রচলিত ও প্রতিষ্ঠিত ধারা ও মূল্য বোধকে চ্যালেঞ্জ করে এমন জনতুষ্টিবাদী ক্রোধের একটি ঢেউ বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে আছড়ে পড়ছে। তবে ইতিমধ্যে বিশ্বরাজনীতিতে এমন কিছু আশাবহ ঘটনা ঘটেছে,যা দেখে এই ভাষ্যকারদের ঝাপসা দৃষ্টিভঙ্গি- ভিত্তিক হুঁশিয়ারিগুলো আরেকটু সংযত হতে পারত। বর্তমানে জনতুষ্টিবাদী ঢেউয়ের প্রমাণ এখন যা আছে, তাকে যৎসামান্য বলা যায়। আর সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতায় দেখা যাচ্ছে, এইধরনের শক্তিকে মোকাবিলার জন্য কার্যকর কৌশলও আছে। গত কয়েক মাসের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা যা জানতে পারছি,তা থেকে পাওয়া শিক্ষাটি স্বতঃসিদ্ধ সত্যের মতো প্রতিভাত হচ্ছে। সেটি হলো গণতন্ত্রকে মূল্য দিয়ে থাকে, এমন সব দলকে গণতন্ত্র বিরোধী হুমকি মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ফ্রান্সে আমরা এমনটিই ঘটতে দেখেছি, যা অনেক পণ্ডিতকে অবাক করে দিয়েছে। সেই স্মৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করে ফ্রান্সে সম্প্রতি বামপন্থী দলগুলো একহয়ে নিউ পপুলার ফ্রন্ট নামের একটি জোট গঠন করেছে। প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর বামপন্থীরা সৃজনশীল হয়ে ওঠে এবং এর ধারাবাহিকতায় মারি লো পেনের চরম ডানপন্থী দল ন্যাশনাল র্যালি ধরাশায়ী হয়। তবে সবচেয়ে বড় কথা, নিউ পপুলার ফ্রন্ট কেবল গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতিই জোর দেয়নি, তারা বারবার অতি ডানপন্থীদের ব্যবসাবান্ধব পরিকল্পনাকেও জনগণের কাছে ব্যাখ্যা করে দেখিয়েছে, ন্যাশনাল র্যালি যেভাবে নিজেদের শ্রমিকবান্ধব বলে প্রচার করে থাকে, আসলে তারা তা নয়।দক্ষিণপন্থীদের মোকাবিলায় গণতন্ত্রপন্থীদের আশাবহ অগ্রগতিমূলক দ্বিতীয় পাঠটি আমরা পাচ্ছি যুক্তরাষ্ট্র থেকে। সেখানে ডেমোক্রেটিক পার্টির নতুন প্রার্থী যে এতটা উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দ বয়ে নিয়ে আসবেন তা খুব কম লোকই প্রত্যাশা করেছিল ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস নিজেকে পরিবর্তনের প্রতিনিধি হিসেবে এতটা বিচক্ষণতার সঙ্গে উপস্থাপন করেছেন যে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, এমনকি বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভাবমূর্তিও তাঁর ঔজ্জ্বল্যের সামনে ম্লান হতে শুরু করেছে। ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলার মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজকে বেছে নেওয়াকে ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেডি ভ্যান্সকে বেছে নেওয়াকে মোকাবিলা করার অংশ বলে মনে হচ্ছে। কারণ, ট্রাম্পের একসময়- কার কড়া সমালোচক জেডি ভ্যান্সকে ট্রাম্পের রানিংমেট করাটা যেমন অপ্রত্যাশিত ছিল, টিম ওয়ালজকে কমলা হ্যারিসের রানিংমেট করাটাও তেমনি অবিশ্বাস্য ছিল। এটি দেখে মনে হচ্ছে, অবশেষে রিপাবলিকানদের কৌশল মোকাবিলায় ডেমোক্র্যাটরা অধিকতর কৌশলী হয়ে উঠেছে।উগ্র ডানপন্থীরা সব সময় নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর পক্ষে কথা বলে থাকে বলে দাবি করে। এই উগ্র ডানপন্থী জনতুষ্টিবাদীরা নিজেদের স্বাভাবিকতার প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে থাকে।জার্মানিতে কট্টর ডানপন্থী দল অল্টারনেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ডের স্লোগান গুলোর মধ্যে একটি হলো-ডয়েচল্যান্ড আরও স্বাভাবিক হবে। এসব জায়গায় জনতুষ্টিবাদীরা এই ধারণা প্রতিষ্ঠিত করতে চায় যে সাধারণ মানুষ খারাপ অভিজাত এবং বিপজ্জনক বহিরাগতদের কারণে হুমকির মুখে আছেন।এভাবে তাঁরা আগে থেকেই অরক্ষিত অবস্থায় থাকা সংখ্যালঘুদের মূলধারার জনগোষ্ঠীর জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে দেখাতে থাকে। উগ্র ডানপন্থী জনতুষ্টি বাদীরা নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠের পক্ষে কথা বলার দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে তারা উচ্চকিত সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব করে। এতে দোষের কিছু নেই; অনেক প্রগতিশীল আন্দোলনের শুরুটা এভাবেই হয়েছিল। কিন্তু যে আন্দোলনগুলো সংখ্যাগরিষ্ঠের পক্ষে কথা বলার ভান করে এবং এর মধ্য দিয়ে অন্য সবাইকে অপমান করে, তা শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। ব্যালট বাক্সের প্রতিযোগিতায় হেরে গিয়ে জনতুষ্টি বাদীরা যে প্রায়ই ভোট জালিয়াতির অভিযোগের আশ্রয় নেয়, সেটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। প্রায় সবখানেই এই চিত্র দেখা যায়। জনতুষ্টিবাদবিরোধীদের মনে রাখা দরকার, সংখ্যাগরিষ্ঠরা আসলে উগ্র ডানপন্থী জনতাবাদী শক্তিকে সমর্থন করে না। যুক্তরাজ্যের নতুন লেবার সরকারের ক্ষমতা নেওয়ার প্রথম কয়েক সপ্তাহ এই অভিনব অন্তর্দৃষ্টিকে আমাদের সামনে তুলে ধরেছে।দেশটি এক দশকের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে নীরব দাঙ্গার সম্মুখীন হয়েছে, কারণ ডানপন্থীদের ছড়ানো বিভ্রান্তি বর্ণবাদী সহিংসতাকে উসকে দিয়েছে। এমন সহিংসতাকে সরাসরি সমর্থন না দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকার সময়ও নাইজেল ফারাজ এমনভাবে কথা বলছেন যা দাঙ্গাবাজদের তৎপরতাকে বৈধতা দিয়েছে। তিনি অবিরাম বলে গেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠরা অভিবাসীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কিন্তু জরিপে দেখা যাচ্ছে, প্রতি তিন জনের মধ্যে মাত্র একজন ব্রিটিশ নাগরিক অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভকে সমর্থন করেন, আর অভিবাসীদের দাঙ্গায় নামার বিরুদ্ধে থাকা ব্রিটিশ নাগরিকদের সংখ্যা বহুগুণ বেশি। জার্মানিতে জনতুষ্টিবাদবিরোধী বিক্ষোভ কারীদের এই স্লোগান দিন দিন জোরালো হচ্ছে। এটি গণতন্ত্রের প্রসারের জন্য একটি ইতিবাচক দিক। যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রবণতা সঞ্চারিত হচ্ছে, সেটিও একটি আশার কথা। এখনকার সভ্যতার বিকশিত সময় ও আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রগতির যুগেও মনুষ্য সমাজে সহিংসতা, রক্তপাত, হানাহানি, বিদ্বেষ, প্রতিহিংসাপরায়ণতা আর উন্মাদনার যে চিত্র প্রায় নিত্য ফুটে উঠছে, এতে মানবতা আজ বিপন্ন। পৃথিবীতে মানুষের যা কিছু উদ্যোগ-উদ্যম, সবকিছুই শান্তিতে বেঁচে থাকার লক্ষ্যকে ঘিরে আবর্তিত হয়। পৃথিবী সুখময় না দুঃখময় এ নিয়ে তাত্ত্বিক বিতর্ক হতে পারে কিন্তু এ কথা সন্দেহাতীতভাবে প্রতিষ্ঠিত যে বিশ্বে নিরাপদে বেঁচে থাকার সাধনাতেই মানুষ নিজেকে ব্যস্ত রাখে। দুঃখের বিষয়, আমরা যত সভ্যতার দিকে ধাবিত হচ্ছি, ততই যেন মানবিক গুণাবলি হারিয়ে ফেলছি। দুই বছর আগে করোনা এসে এই মানবিকতায় বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, আমরা কতটা মানবিকতা ধারণ করতে পারছি। কতটা অন্যের স্বার্থরক্ষা করতে পারছি। তবে আমাদের হতাশ হলে চলবে না। আমাদের চিরকালের মানবিক মূল্যবোধ ও নীতিনৈতিকতার দিকে তাকাতে হবে। আমাদের এ আচার-আচরণে করোনাভীতি সাময়িকভাবে আস্তরণ ফেললেও তা শেষ হয়ে যায়নি। এখনও মানুষের মধ্যে মানবিকতা রয়েছে। প্রয়োজন শুধু তা জাগিয়ে তোলা। লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট, যুক্তরাজ্য। ডেল্টা টাইমস/রায়হান আহমেদ তপাদার/সিআর/এমই |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |