বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২ আশ্বিন ১৪৩১

বারবার কেন এমনটা হচ্ছে খতিয়ে দেখা দরকার নয় কী
রায়হান আহমেদ তপাদার:
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪, ১১:০১ এএম | অনলাইন সংস্করণ

বারবার কেন এমনটা হচ্ছে খতিয়ে দেখা দরকার নয় কী

বারবার কেন এমনটা হচ্ছে খতিয়ে দেখা দরকার নয় কী

সম্প্রতি এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যার প্রভাব শুধু দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বাইরেও। এসব ঘটনা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করছে। যার ফলে বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের ব্যাপারে নানা কঠোরতা আরোপ করছে। এতে দেশের ও দেশের মানুষের ভাবমূর্তিই যে শুধু নষ্ট হচ্ছে তা নয়, এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও। যদিও বর্তমান সরকার দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য বিরামহীন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাতেও কোন কাজের কাজ হচ্ছে না। রাজনীতিতে বিভিন্ন দলের মধ্যে মতভেদ থাকতেই পারে, কিন্তু একটা ব্যবস্থা সকল দলকেই মানতে হবে যার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে এই সব মতভেদ নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে এবং সমাধানের বিভিন্ন পথ খুঁজে বের করা যায়। আমাদের দেশের রাজনীতির মূল সমস্যা হলো সকল দলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি ব্যবস্থা আমরা গড়ে তুলতে পারিনি যার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক বিভেদগুলোর সমাধান করতে পারা যায় এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হস্তান্তর করা যায়। আমাদের এখানে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো শক্তিশালী না হওয়ার পেছনে প্রতিবন্ধকতাগুলো কোথায়? গত ৫২ বছর ধরে আমরা রাজনীতি চর্চা এবং শাসনপ্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে এমন কিছু রীতিকে নিয়মে পরিণত করেছি যেগুলো আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো শক্তিশালী হওয়ার জন্য প্রতিবন্ধক। আমাদের রাজনীতির মূল সমস্যা সবকিছুতেই জয়লাভ করা। এখানে নির্বাচনে যে দল হারছে তারা প্রায় সর্বহারা হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনী প্রতিযোগিতা প্রচণ্ড সংঘাতের রাজনীতি সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে আমাদের নির্বাচিত রাজনৈতিক শাসকগণ সামরিক শাসকদের অনেকে অগণতান্ত্রিক চর্চা পরিত্যাগ তো করেইনি বরং এগুলোকে তারা লালন করে নিয়মে পরিণত করেছেন।

সংসদে একটি কার্যকর বিরোধী পক্ষের অভাবে আমরা সরকার প্রক্রিয়ার ভেতর কোনোরকম ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির প্রচলন ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছি। যা গণতান্ত্রিক শাসন পদ্ধতি টিকিয়ে রাখার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংস্কৃতি, আগামীর বাংলাদেশ আর আমাদের চলমান সংকটের নেপথ্যে কি আছে তা খতিয়ে দেখার সময় এসেছে। দীর্ঘদিন মানুষ তার ভেতরের যে আকাঙ্ক্ষা, তার যে কষ্ট-এগুলো প্রকাশ করতে পারেনি। এ কারণে একটা চাপা ক্ষোভ দিনের পর দিন পুঞ্জীভূত হয়েছে। অনেক কারণেই সেটা হয়েছে। মূল্যস্ফীতি, দুর্নীতি, গরিবে-ধনীতে বৈষম্য, জীবনযাত্রার মান নিচে নেমে যাওয়া থেকে শুরু করে ভোট দিতে না পারা ও ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করতে না পারা- এসব ক্ষোভ একত্র হয়ে এ আন্দোলনে প্রকাশিত হয়েছে। এটা একটা বিস্ফোরণের মতো ঘটনা। দেশকে আমরা যারা চিনি ও জানি, তারা এটুকু বুঝতে পারি, এ দেশের জনগণ দীর্ঘদিন অন্যায় ব্যবস্থা মেনে নেয় না। তারা একসময় প্রতিবাদ করে।বাষট্টি,উনসত্তর,একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও নব্বইয়ের অভ্যুত্থানে আমরা সেটা লক্ষ করেছি।আমরা দেখেছি,মানুষ দীর্ঘদিন সহ্য করে,অপেক্ষা করে,কিন্তু ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেগেলে তখন একটা বিস্ফোরণ ঘটে। যাঁরা দেশ চালান, দেশের দায়িত্বে যাঁরা আছেন, তাঁরা যদি মানুষের এই মনোভাব বুঝতে না পারেন, তাহলে বিপত্তি ঘটে। এবারে সে রকমই একটা কিছু ঘটেছে। দেশের এখনকার যে পরিস্থিতি, সেখানে দেশটাকে আনার মূল দায়দায়িত্ব নিঃসন্দেহে যাঁরা ক্ষমতায় আছেন, তাঁদের ওপরেই গড়ায়। অবশিষ্ট দায়িত্ব যেটা, সেটা অন্যদের ঘাড়েও আসে। এ রকম একটা পরিস্থিতি দেশের মানুষ চাননি। গত কয়েক দশকের ইতিহাসে মাত্র অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে এত মানুষের মৃত্যু তো কখনো ঘটেনি। উনসত্তরের গণ-আন্দোলনেও এতসংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়নি।

কিন্তু সেই আন্দোলন তো তিন মাস ধরে চলেছিল। তিন মাসের সঙ্গে অল্প কয়েক দিনের ঘটনার তুলনা করলে এটা সত্যিই ভয়াবহ একটা ব্যাপার। এর তুল্য ঘটনা আমাদের দেশে কখনো ঘটেনি।বিশেষজ্ঞ মহলের মতামত হচ্ছে,সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সব ধরনের অবিশ্বাস ও সন্দেহ দূর করে, সব পথ ও মতের লোকদের নিয়ে বসে আলোচনা করা দরকার। কীভাবে এ সংকট থেকে উত্তরণ হবে, কীভাবে মানুষের মধ্যে বিশ্বাস-আস্থা ফিরে আসবে, কীভাবে দেশ সুন্দর ভাবে চলবে,কীভাবে দেশে গণতান্ত্রিক ও সহনশীল ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়-এসব বিষয়ে আলোচনা করা দরকার। এ মুহূর্তে আমরা হয়তো সব অসাম্য ও বৈষম্য দূর করতে পারব না। কিন্তু আন্তরিকতা থাকলে একটা সুন্দর নির্বাচন করতে পারব,সত্যিকার অর্থে প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব। আওয়ামী লীগ বড়, পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল। তারা কেন এত বড় কালিমা নিয়ে থাকবে? যা কিছু ভুলত্রুটি হয়ে গেছে, সেগুলো এক পাশে ঠেলে রেখে একটু উদারচিত্তে সবকিছুকে দেখা এবং গণগ্রেপ্তার ও দমন-পীড়নের পথ থেকে আওয়ামী লীগকে একটু সরে আসা খুবই দরকার।দেশে গত কয়েক সপ্তাহে অনেকগুলো ঘটনা ঘটে গেছে।ছাত্রদের কোটা আন্দোলন, প্রথম আলোর সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী প্রায় দুইশ জন নিহত, সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অফিস ও ভবনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটতরাজ এর অন্তর্ভুক্ত। এ ছাড়া আপিল বিভাগে একটি রায় হয়েছে। বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশনও গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা তাদের আন্দোলন থামানোর কথা এখনো বলেনি। আপিল বিভাগের রায়কে তারা যে স্বাগত জানিয়েছে, সে ধরনের কথা তারা বলেনি। সরকার কারফিউ দিয়ে,সেনাসদস্যদের মাঠে নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট, ছররা গুলি,গ্রেপ্তার ইত্যাদি তো চলছে।

আমরা অবশ্যই সবাই চাই, আলাপ-আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে এই সংকট নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হোক। কিন্তু বর্তমানে আমাদের রাষ্ট্রের যে বৈশিষ্ট্য, তাতে সমঝোতা ও আলাপ-আলোচনার সুযোগ দেখছি না। এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সরকার যদি সমঝোতার পথে আসতে চায়, তাহলে প্রথমেই পুলিশের গুলিতে রংপুরের আবু সাঈদের মৃত্যু ও আন্দোলনের একজন সমন্বয়কারী মো. নাহিদ ইসলামকে ধরে নিয়ে যে অত্যাচার করা হয়েছে, অবিলম্বে তার তদন্ত করে বিচার হতে হবে। কিন্তু তদন্ত করে বিচারের কথা বলার অসারতা হলো,গত কয়েক দিনে অজ্ঞাতনামা ৬১ হাজার মানুষকে আসামি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা করা হয়েছে। এর মুল কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশের আইনে বিচার বিভাগীয় তদন্ত বলে কোনো কিছু নেই। যদিও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটলে, অন্যায়-অবিচার হলে বিভিন্ন মহল প্রায়ই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানায়। কিন্তু আইনের দৃষ্টিতে আইনের মধ্যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত বলে কিছু নেই। আমাদের বিচার বিভাগ বিচার করে। অর্থাৎ দুই পক্ষের মধ্যে কোনো বিরোধ হলে সেই বিরোধের আইনগত সমাধান দেয়। সম্প্রতি বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের নেতৃত্বে যে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে, সেটা কোটা সংস্কার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে তার বিচারের ব্যবস্থা করার জন্য নয়। এই কমিশন মূলত প্রশাসনিক ব্যর্থতা বা অন্য কোনো পদক্ষেপের কারণে এই অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে কি না, তার খোঁজখবর নেবে এবং সেটা নিয়ে সরকারকে সুপারিশ দেবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। সুতরাং, রংপুরের আবু সাঈদ ও ঢাকার নাহিদ ইসলামের ঘটনা স্বাভাবিক ফৌজদারি আইনের নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত করে বিচারের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এখন আট দফা দাবি জানিয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া, আবাসিক হলগুলোয় প্রশাসনিক ভাবে সিট বরাদ্দ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করা ও ছাত্র সংসদ চালু, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে করা সব মামলা প্রত্যাহার, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক, আইনি বা প্রশাসনিক হয়রানি না করার নিশ্চয়তাসহ আনুষঙ্গিক দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ না নিলে অস্থিরতা কাটবে না। সবারই যেটা চোখে পড়েছে, সেটা হলো নারীদের কোনো কোটা নেই। আমাদের সংসদে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন আছে। সংসদে নারীদের সংরক্ষিত আসন থাকবে আর তাঁদের কর্মজীবনে কোটা থাকবে না, এটা তো হতে পারে না। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য কতটা কোটা থাকবে, সেটাও আলাপ-আলোচনার বিষয়। মোদ্দাকথা, আপিল বিভাগে একটা রায় হয়েছে, কিন্তু রায়কে হুবহু অনুসরণ করে এখনই যদি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, তাতে সংকটের সমাধান হবে বলে মনে হয় না। শেষ কথা হলো, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরকারকে আলাপ-আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধানের পথ ধরতে হবে; যদিও সেটা সরকারের কাছে অনেক বেশি প্রত্যাশা হয়ে যাবে। অর্থনীতি ইতিমধ্যে স্থবির হয়ে গেছে। সেনাসদস্যদের নামিয়ে, ইন্টারনেট বন্ধ রেখে, হাজার হাজার লোকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে এই সমস্যার সমাধান তো হবেই না, বরং সমস্যাটা আরও ঘনীভূত হবে। আমাদের জীবন এমনিই দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সবার নাভিশ্বাস। এগুলোর সবকিছুকে আমলে নিয়ে সবার সঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনা করে সরকারকে একটা সমাধানের পথে যেতে হবে।একজন ক্ষুদ্র লেখক হিসেবে বাংলাদেশের সংবিধানের সবকিছু না বুঝলেও দেশটাকে বুঝি। জনগণের কষ্টটা বুঝি। তাই দেশের কোনো খারাপ কিছু চোখে পড়লে মনটা দুঃখ-কষ্টে কেঁদে উঠে। কেন জানি সবকিছুই এলোমেলো মনে হয়। 

জানিনা কেন এমনটি হয়। হয়তোবা দেশে জন্মেছি বলে এটাই দেশ প্রেমের অনুভুতি। যাইহোক,বাংলাদেশ একটা কঠিন সময় অতিক্রম করছে। আর কোনো মায়ের কোল খালি হতে দেওয়া যাবে না। সংঘাত তৈরি করে তৃতীয় কোনো সুযোগ সন্ধানীকে মাঠে নামতে দেওয়া যাবে না।তাই দেশের স্বার্থে,আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ ধরে রাখার জন্য সরকার সহ সবার কাছে বিনয়ের সঙ্গে আবেদন দ্রুত এসব সমাধানের উদ্যোগ নিন। বাংলাদেশ বিশ্ব- বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা আমাদের সন্তান, আমাদের আগামী। রংপুরের বেদনাবিধুর ঘটনাটি কেউই মেনে নিতে পারছে না। তাই রংপুরসহ সব হত্যার বিচারের ব্যবস্থা নিন। সজাগ দৃষ্টি রাখুন এ ঘটনায় কেউ যাতে অপব্যবহার না করতে পারে। বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে, এগিয়ে যাবে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্ক বন্ধ করতেই সংকটের দ্রুত নিরসন জরুরি।


লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট, যুক্তরাজ্য।

ডেল্টা টাইমস/রায়হান আহমেদ তপাদার/সিআর/এমই

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
  এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।

ফোন: ০২-৪৭১২০৮৬১, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।
ফোন: ০২-৪৭১২০৮৬১, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com