ঘুরতে যাওয়ার টাকার জন্য নানাকে খুন
ডেল্টা টাইমস্ ডেস্ক:
|
![]() চকবাজারের মনসুর আহম্মেদ নামে এক ব্যক্তিকে হত্যায় তাঁর নাতি–নাতনিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি সংগৃহিত বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) বিপ্লব বিজয় তালুকদার। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো নিহত মুনসুর আহম্মেদের নাতি মো. শাহাদাত মুবিন আলভী এবং নাতনি আনিকা তাবাসসুম। আনিকা মেডিক্যালে এবং আলভী উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যয়নরত। এ ছাড়া তাদের সহযোগী হিসেবে রাজু, রায়হান ও সাঈদ নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ও আজ বুধবার দুই দিন অভিযান চালিয়ে চকবাজার, মুন্সীগঞ্জ ও চাঁদপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন সম্পর্কে বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একটি সিরিঞ্জ পাওয়া যায়। ওই বাসার আশপাশসহ বেশ কয়েক স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনা শেষে নিহত ব্যক্তির নাতনি আনিকা ও নাতি আলভীকে শনাক্ত করে চকবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ ও চাঁদপুর থেকে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত তাদের বন্ধু রাজু, রায়হান ও সাঈদকে গ্রেপ্তার করা হয়। ’ হত্যার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘নিহত মুনসুর আহম্মেদের নাতি-নাতনি ও বন্ধুরা মিলে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। এ জন্য তাদের টাকার প্রয়োজনে নানাকে টার্গেট করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন বাসার সবাই একটি বিয়েবাড়িতে গেলে তারা আগে থেকে বানিয়ে রাখা নকল চাবি দিয়ে ওই বাসায় প্রবেশ করে। এরপর তারা টাকা নিতে চাইলে মুনসুর আহম্মেদ বাধা দেন। তখন তারা সিরিঞ্জ দিয়ে অচেতন করার ওষুধ পুশ করে ও আঘাত করে। পরবর্তী সময়ে তারা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। ’ এর আগে গত ১৭ নভেম্বর রাতে চকবাজারের খাজে দেওয়ান লেনের নিজ বাসা থেকে মুনসুর আহম্মেদের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় চকবাজার থানায় হত্যাসহ দস্যুতার একটি মামলা হয়। ডেল্টা টাইমস্/সিআর/এমই
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |